বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি গোদ রোগী বরগুনায়, রোগীশূন্য ভোলা
বরিশালে গোদ রোগের ওপর সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ সভা
গোদ রোগ বা ফাইলেরিয়াসিস এক প্রকার পরজীবী ঘটিত রোগ। বরিশাল বিভাগে গোদ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ১২৯ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মানুষ রয়েছে বরগুনায়। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) গোদ রোগের ওপর সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বিভাগের মধ্যে ভোলায় কোনো গোদ রোগী নেই। বরগুনায় সবচেয়ে বেশি ১০২৩ জন রোগী রয়েছে। এছাড়াও ঝালকাঠিতে ৬৪১ জন, পটুয়াখালীতে ৬৩৬ জন এবং বরিশালে ৪৭৮ জন গোদ রোগী রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গোদ রোগ নিয়ে আমরা অনেকেই আতঙ্কে থাকি। আবার অনেকে চিকিৎসা গ্রহণ না করে ঝাড়-ফুঁকের আশ্রয় নেয়। এর কোনোটি উচিত না। যত্ন ও চিকিৎসা নিলে গোদ রোগী বিকলাঙ্গতা থেকে রক্ষা পায়। গোদ রোগ ফাইলেরিয়া গ্রুপের একটি রোগ। বিশ্বের ৭২টি দেশের ৮৯.৪৫ কোটি মানুষ ফাইলেরিয়া রোগের ঝুঁকিতে বাস করে। আর বাংলাদেশে ২০০১ থেকে ২০০৪ সালের জরিপে ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৪টি জেলা ফাইলেরিয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়। কারণ এই ৩৪ জেলায় গড়ে ১০.৮ ভাগ মানুষ মাইক্রোফাইলেরিয়া সংক্রমিত।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, মাইক্রোফাইলেরিয়া পূর্ণ পাওয়া মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে ব্যানক্রাফট পরজীবী মানবদেহের লসিকা নালিতে বসবাস করতে থাকে। লসিকা প্রবাহ বন্ধ করে সর্বশেষ লসিকা নালিটা ফেটে গিয়ে চামড়ার নিচে ব্যানক্রাফট পরজীবী কোষকে সংক্রমিত করে। সেখানে পরজীবীর কোষ বৃদ্ধি এবং সংক্রমিত অঙ্গ স্ফিত করে গোদ রোগে রূপান্তরিত হয়। গোদ রোগ বিভিন্ন অঙ্গে হতে পারে। হাত, পা ছাড়াও পুরুষাঙ্গ (একশিরা), নারীদের যৌনাঙ্গ বা স্তনেও গোদ রোগ হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুকুমার রায়, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক (বীর প্রতীক), সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল জলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর