ঝিমিয়ে পড়া সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগকে গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন ৩৩ নেতা। আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে পদপ্রত্যাশীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। এদের মধ্যে আহ্বায়ক পদপ্রত্যাশী রয়েছেন ১৬ জন ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন ১৭ জন।

আহ্বায়ক পদপ্রত্যাশীরা হলেন জহিরুল ইসলাম নান্টু, আব্দুল মান্নান, মীর মহি আলম, নাজমুল হৃদা পলাশ, তানভীর হুসাইন সুজন, রেজা আল আমিন শুভ, ওয়াহিদ পারভেজ, মোরর্শেদ আলী, কাজী নজরুল ইসলাম হিল্লোল, মিজানুর রহমান মিজান, সোহরাব হোসেন সাজু, ওয়াহেদুজ্জামান ওয়াহেদ, সোহাগ হোসেন, শেখ রফিকুল ইসলাম রানা, খায়রুল আলম সবুজ ও আব্দুস সাত্তার।

যুগ্ম আহ্বায়ক পদপ্রত্যাশী হয়েছেন আমিনুর রহমান বাবু, মনোয়ার হোসেন অনু, মঈনুল হোসেন, শেখ তামিম আহম্মেদ, রেজাউল ইসলাম রেজা, জাহিদ হাসান বাপ্পী, সরদার জাকির, শেখ ইমরান, হাফিজুর রহমান সবুজ, ইমরান বাহার বুলবুল, জনি জাবেদ, ইনজামুল ইসলাম ইনজা, আব্দুল মজিদ, আব্দুস সালাম, কাজী নুর হোসেন রনি, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ও জাহিদ হোসেন।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে পদপ্রত্যাশীদের নাম জানা গেছে। ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিতপত্রে সাতক্ষীরা যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদপত্যাশীদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান করেন। ৩-৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যুবলীগের প্রধান কার্যালয়ে পদপ্রত্যাশীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন।

এদিকে, বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে বহিষ্কৃত আব্দুল মান্নানও আহ্বায়ক পদের জন্য সিভি জমা দিয়েছেন। ত্যাগী নেতারা জানান, অনেকেই সিভিতে ভুয়া পদ-পদবি ব্যবহার করে জমা দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের সিভি তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম নাল্টু বলেন, জেলা যুবলীগকে গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদের জন্য পদপ্রত্যাশীরা সিভি জমা দিয়েছেন। আমিও আহ্বায়ক পদের জন্য সিভি দিয়েছি। এদের মধ্যে বর্তমান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে কয়েক মাস আগে বহিষ্কৃত আব্দুল মান্নান আহ্বায়ক পদের জন্য সিভি দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ জানান, বর্তমান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের বিচক্ষণতার মধ্য দিয়েই প্রতিটি কমিটি করছেন। এখানে ভুয়া বা কারো তদবিরে কমিটি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রকৃত ত্যাগীরাই কমিটিতে আসবেন।

আকরামুল ইসলাম/এমএসআর