বান্দরবানে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আবুল কালামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। সোমবার জেলা ও দায়রা জজ এহ্সানুল হক আদালত এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১৭ মার্চ সকালে মো. আবুল কালাম নিজ বসতবাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে লাঠি দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে হত্যার পর পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় ১৭ মার্চ নিহত মনোয়ারা বেগমের বাবা সৈয়দ আলম বাদী হয়ে জামাতা আবুল কালামের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর আবুল কালামকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিদেন দাখিল করে।

আসামি মামলার শুরু থেকে পলাতক থাকায় আদালত কর্তৃক আসামির জন্য এসডিএল নিয়োগ করা হয়। আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

পরে আসামি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির পর্যায়ে ৩ নভেম্বর আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। আসামিপক্ষ থেকে এ মামলায় ৪ জন সাফাই সাক্ষীকে পরীক্ষা করার পর আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম (৪৫) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি ঠান্ঠাঝিরির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মকবুল আলীর ছেলে। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম একই এলাকার সৈয়দ আলমের মেয়ে।

বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেদারুল আলম জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আবুল কালাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মামলার বাদী মনোয়ারা বেগমের বাবা সৈয়দ আলম রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

রিজভী রাহাত/এমএসআর