বরগুনায় রাসেল (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন তার বাবা। তিনি ছেলেকে হত্যার অভিযোগ এনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করেছেন। সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বরগুনা সদর থানায় ছেলের মরদেহ নিয়ে যান ওই বাবা। পরে দুপুরে মরদেহ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। 

গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মৃত্যু হয় রাসেলের। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মামাতো ভাই রিয়াজের কাছে রাসেলের মরদেহ হস্তান্তর করে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ। 

নিহত রাসেল বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলাতলা গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে। তিনি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কামরাঙ্গীর চর এলাকায় মামা জালালের ভাড়া বাসায় স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেল কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মামা জালালের ভাড়াবাসায় স্ত্রী রুমি বেগমের (১৯) সঙ্গে বসবাস করতেন। সেখানে গত শনিবার রাতে রাসেলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাসেলের মামাতো ভাই রিয়াজ কামরাঙ্গীরচর থানায় রাসেলের স্ত্রী ও কাইয়ুম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগের জেরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নিহত রাসেলের স্ত্রী রুমি বেগম ও কাইয়ুমকে গ্রেফতার করে এবং মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বাদী রিয়াজের কাছে হস্তান্তর করে।

নিহতের বাবা ফারুক দাবি করেন, রাসেলকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে সম্পত্তির জন্য খুন করেছে রিয়াজ। এখন পরকীয়ার অভিযোগ দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পালিয়েছে সে। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।’ 

বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু মরদেহের ময়নাতদন্ত আগেই হয়েছে, তাই আর নতুন করে ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তাছাড়া মামলাটি কামরাঙ্গীরচর থানায় তদন্তাধীন। তাই মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর