উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতকালে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কাজী ফার্মস গ্রুপ জেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এবারও কয়েক হাজার কম্বল বিতরণ করছে। গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মজাহারুল হক প্রধানের কাছে বিতরণের জন্য ৭০০ কম্বল প্রদান করে কাজী ফার্মস গ্রুপ।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান তার নিজ বাড়ি থেকে ট্রাকযোগে কম্বল বিতরণের জন্য বের হন। পরে বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের  চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় শীতার্ত মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। ট্রাক থেকে কম্বলগুলো নামানোর সময় দেখা যায় কম্বলগুলো অনেক পাতলা এবং নিম্নমানের। এতে হতবাক হয়ে যান মজাহারুল হক প্রধান। পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে নিয়ে জনসম্মুখে কম্বলগুলো কাজী ফার্মস গ্রুপকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাজী ফার্মসের রিজিওন কার্যালয়ের প্রতিনিধি স্টোর নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে কম্বলগুলো ফিরিয়ে দেন। 

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান বলেন, কাজী ফার্মস গ্রুপের দেওয়া কম্বল যদি নিম্নমানের হয় তাহলে তাদের উৎপাদিত পণ্যের মান আমার মনে হয় আরও নিম্নমানের। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে তারা বিশাল আয়তনের কৃষি জমি ক্রয় করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু জেলার শীতার্তদের জন্য এ ধরনের নিম্নমানের কম্বল আমাদের মাধ্যমে বিতরণ করে বিভিন্নভাবে প্রচার করবে বিষয়টি দুঃখজনক। শত শত কোটি টাকার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি আসলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। 
 
এ বিষয়ে কাজী ফার্মস গ্রুপের পঞ্চগড় রিজিওনের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আকরামুজ্জামান শেখ বলেন, কারও সুপারিশ ছাড়াই সরাসরি শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয় প্রতি বছর। চলতি শীত মৌসুমে পঞ্চগড় জেলায় প্রায় ২০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। 

কম্বল ফেরত দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আসলে যে মানের কম্বল জেলা প্রশাসককে বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে সেই মানের কম্বল সংসদ সদস্যকেও বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছিল। 

রনি মিয়াজী/আরএআর