স্বামীসহ ববি ছাত্রীকে মারধর, ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্বামীসহ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ওসি জানান, জাহিদ হোসেন জয়, মাকুন মোল্লা ও চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুল আলম লিটনের নাম উল্লেখ ও আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বামী সোহাগ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেননি। ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে গেলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী ও তার স্বামীকে আটকে রেখে চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল আলম লিটনসহ কয়েকজন মিলে তাদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে ববির শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল পাঠাগার, লিটন মেম্বার ও জয়ের বাড়িতে ভাঙচুর করে। সেখান থেকে ফিরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
এদিকে অভিযুক্ত জাহিদের মা জোছনা বেগম বলেন, ছেলের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার বাড়িতে শিক্ষার্থীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। ঘরে ব্যবহারের মতো কিছুই রেখে যায়নি। আমার ছেলে অন্যায় করলে দেশে আইন ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যা করল তাও অপরাধ। আমার সারা জীবনের সম্বল শেষ করে দিয়ে গেছে। এর বিচার আমি কার কাছে চাইব?
লিটন মেম্বারের বাবা আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, আমাদের বাড়িঘর ভেঙেছে। আমাকে মারধর করেছে।
তবে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কারও বাড়িঘরে হামলা করেননি।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই