কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী হোস্টেলে ‘ভূতের ভয়ে’ মিলাদ পড়ানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হচ্ছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাত থেকে এ নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলােচনা হচ্ছে। অনেকে এটিকে কুসংস্কার বলে দাবি করছেন।

জানা যায়, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের একটি হােস্টেলের নাম হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাস। ওই ছাত্রীনিবাসে ভূত-আতঙ্ক বিরাজ করছে ছাত্রীদের মধ্যে। এজন্য হােস্টেলটিতে মিলাদ পড়ানাে হয়েছে। হোস্টেলের পূর্ব দিকে বখাটেদের আনাগোনা আছে। নবাব বাড়ি ও এর আশপাশে প্রায়ই প্রকাশ্যে গাঁজা খায় তারা। রাতেও সেখানে তাদের উৎপাত রয়েছে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা  অদ্ভূত শব্দ শুনে থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোস্টেলের এক ছাত্রী জানান, মধ্যরাতে মজার ছলে বন্ধুদের নূপুরের আওয়াজ শুনিয়ে ভয় দেখানো হতো। বিষয়টি বর্তমানে অনেকের কাছে সিরিয়াস হয়ে গেছে। এখন মধ্যরাতে বিড়ালের আওয়াজ শুনেও অনেক ছাত্রী ভয় পাচ্ছে। তারা মানসিকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত।

মোজাইদুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে কমেন্ট করেছেন, ভূত বলে কিছু নেই। মেকাপ ছাড়া একজন অন্যজনকে দেখছে হয়তো।

মোহাম্মদ নবিন লেখেন, ছাত্রী হোস্টেলে ভূত থাকবে আর ছাত্র হোস্টেলে পেত্নী এটাই নিয়ম।

জেসমিন আক্তার জানায়, ১৯৯৪ সালে আমরা যখন হোস্টেলে থাকতাম  তখন থেকেই কিছু সমস্যা ছিল। আসলে হোস্টেলের চারপাশ খুব নীরব। রাতের বেলা ভীষণ ভয় লাগত।

কুমিল্লা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাছের জানান, মেয়েরা ভয় পেয়ে আমাকে জানিয়েছে। তাদের অনুরোধে সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হুজুর ডেকে হোস্টেলে মিলাদ পড়ানো হয়। কারা তাদের ভয় দেখাচ্ছে তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

অমিত মজুমদার/এসপি