ভোলার লালমোহনে একটি পুকুরে দেশীয় মাছের জন্য ক্ষতিকর ‘সাকার ফিশ’ ধরা পড়েছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পশ্চিমচর উমেদ ইউনিয়নের সৈনিক বাজার সংলগ্ন এলাকার মালেক কন্ডাক্টরের বাড়ির মো. কামালের হোসেনের পুকুরে ২৫টি ‘সাকার ফিশ’পাওয়া যায়।

গ্রামের পুকুরে এ ধরনের মাছ পাওয়ার খবরে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মাছগুলো এক নজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে উপজেলার সৈনিক বাজার এলাকার মালেক কন্ডাক্টরের বাড়ির কামাল তার পুকুর সেচ দেন। পরে মালেক কন্ডাক্টরের ছেলে কামাল মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন। এ সময় অন্য মাছের সঙ্গে তার জালে ‘সাকার ফিশ’ উঠে আসে। এই মাছ দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।

পুকুরে সাকার ফিশ প্রবেশের কারণ হিসেবে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এক বছর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জলোচ্ছ্বাস এবং জোয়ারে এলাকার অনেক পুকুর-ডোবা এবং খাল-বিল ডুবে যায়। তখন হয়তো পানির সঙ্গে এসব মাছ ভেসে এসেছে এবং তা বিভিন্ন পুকুরে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, এটি বিরল প্রজাতির মাছ বলা যাবে না। এগুলো মাঝে মধ্যেই দেখা যায়। অ্যাকুরিয়ামে এ ধরনের মাছ থাকে। এরা সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এগুলো চাষ, উৎপাদন বা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসব মাছে অন্য প্রজাতির মাছের বংশবিস্তারে বাধা সৃষ্টি করে। এসব মাছ না খাওয়াই ভালো। 

তিনি বলেন, প্রকৃতিকভাবে পুকুরে এই মাছ আসতে পারে। উন্মুক্ত জলাশয়ে বা চাষের পুকুরে এই রাক্ষুসে ‘সাকার ফিশ’ থাকলে দেশীয় প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে পড়বে। 

ইমতিয়াজুর রহমান/আরএআর