নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করেছেন, তার সমর্থনকারী ১০ জন নেতাকর্মী ও নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাত থেকে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় মাসদাইরের মজলুম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। 

তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, যাদের কাছে আমাদের অভিযোগ করার কথা তারাই নির্বাচনকে কলুষিত করছে এবং সুষ্ঠু পরিবেশে বাধা সৃষ্টি করছে। আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন এবং যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের দেখেন। দেখবেন তাদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত থেকে আমি কাগজ নিয়ে এসেছি। গত বছরের হেফাজতের মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন দেখা যায় ছাত্রলীগও হেফাজতের মামলার আসামি, হিন্দুও হেফাজতের মামলার আসামি। মানে হিন্দুরাও হেফাজত করে।
 
তিনি বলেন, আমার লোকদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা আমার নির্বাচনের নানা কাজের দায়িত্বে আছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সকলকেই হেফাজতের মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ডিসি-এসপি বলেন আমি অভিযোগ করিনি। এখানে সই করা কাগজ আছে আমার কাছে।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. মমতাজ মিয়া, মো. জামাল, মো. গিয়াসউদ্দিন প্রধান, আহসান হোসেন ভূইয়া, মনির হোসেন, আহসানউল্লাহ, কাজী জসিম উদ্দিন, মো. বোরহান উদ্দিন, আবু তাহের ও জয়দেব চন্দ্র মন্ডল। গ্রেফতারদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। 

এ বিষয়ে নারায়ণগ‌ঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, আমরা কারও পক্ষে বা বিপক্ষে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে আমরা শুধু তাদেরই গ্রেফতার করেছি।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচতে মেয়র পদে সাতজন, কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার আগামীকাল ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

আরএআর