পারিবারিক কলহের জেরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হোটেল ব্যবসায়ী আজিজারকে (৫৬) হত্যা করাছে তার ছেলে সোহান মৃধা (২২)। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে হত্যার পর মরদেহ গোবিন্দগঞ্জ-বগুড়া হাইওয়ে রাস্তার ওপরে রাখা হয়। এ ঘটনায় আজিজারের এক স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) গাইবান্ধার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি রাতে গোবিন্দগঞ্জের আশা মণি হোটেলের সামনে গোবিন্দগঞ্জ-বগুড়া হাইওয়ে রাস্তার ওপরে আজিজারের রক্তমাখা মরদেহ পড়ে থাকে। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী মেনেকা বেগম বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা করেন। পরদিন ১৩ জানুয়ারি হত্যা মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, ১১ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে রাতের খাবার খাওয়ার সময় আজিজার রহমানের অপর স্ত্রী সোহাগী বেগমের (৪৩) মেজ ছেলে সোহান মৃধা বাড়িতে এসে তার গরু অসুস্থ হয়েছে বলে বাবাকে ডেকে নিয়ে যান। পরে একই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী আজিজার রহমানের রক্তাক্ত মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকার খবর পান তার আরেক স্ত্রী মেনকা বেগম।

এ ঘটনায় পরদিন ওই স্ত্রী মেনেকা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরদিন ১৪ জানুয়ারি গোবিন্দগঞ্জ থানার বকচর গ্রাম থেকে আজিজার রহমানের ছেলে মো. সোহান মৃধাকে (২২) গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সোহান পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

১৫ জানুয়ারি বিকেল চারটার দিকে গাইবান্ধা বাসস্ট্যান্ড থেকে সোহান মৃধার মা সোহাগী বেগমকে গ্রেফতার করে পিবিআই। একই দিন বিকেল ৫টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর গ্রাম থেকে সোহান মৃধার ছোট ভাই ও নিহত আজিজারের ছেলে মো. ফারুক মৃধাকে (১৫) গ্রেফতার করা হয়।

রিপন আকন্দ/এনএ