সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সহীদ সরোয়ারকে মারধরের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৫ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন, উপ-স্কুলবিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন ও গান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিখন মিয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মারধরের ঘটনার তদন্তে জেলা ছাত্রলীগের ছয় নেতার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বেলায়েত উল ইসলাম শাওনকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে পূর্বশক্রতার জেরে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সহীদ সরোয়ারকে নিজ গ্রাম গান্দাইলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার দুপায়ের নিচের অংশে জখম করা হয়েছে। তার বাঁ পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার পর ওই দিন রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।

শুভ কুমার ঘোষ/এনএ