বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় যৌন নির্যাতনের পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। 

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কেদারপুর ইউনিয়নের লাশঘাটা সড়কের পশ্চিম ভূতেরদিয়া দারুল কোরআন মাদরাসা এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

বক্তারা মরিয়ম বেগমকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার সুমন ফকির ও শয়ন চন্দ্র শীলকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। এ ছাড়া পূর্বপরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান তারা। পাশাপাশি যৌন নির্যাতন ও হত্যাকারীদের পরিবারকে সমাজ থেকে বয়কট করার ঘোষণা দেওয়া হয় মানববন্ধনে। 

মানববন্ধনে বিচার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে দেখভাল না করলে অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন ও হত্যাকারীদের বাড়িঘর জালিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় শতাধিক মানুষ উক্ত বিক্ষোভে সংহতি জানায়। 

কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরে আলম ব্যাপারীর সভাপতিত্বে ও কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম মাছুম মৃধার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি জহিরুল হাসান অরুণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর হোসেন নূর, সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা, কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মিল্টন, আ. রশিদ হাওলাদার, ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান সিকদার, আমির হোসেন মৃধা, পশ্চিম ভূতেরদিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বাবুগঞ্জ উপজেলার সন্ধ্যা নদী সংলগ্ন একটি খালের লাশঘাটা নামক স্থান থেকে মরিয়ম বেগম নামে ৫ সন্তানের জননীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মরিয়ম পূর্ব ভূতেরদিয়া গ্রামের মৃত মো. হারুন হাওলাদারের স্ত্রী।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই