শাহ আলী

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহর ভাই মো. শাহ আলীর (৫৫) বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) উখিয়া থানায় এই মামালা দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক এসপি মো. নাইমুল হক।

গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার প্রধান আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন, এমন তথ্য পায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। এই তথ্যের ভিত্তিতে ড্রোন দিয়ে তল্লাশি করা হয়। আরসার প্রধান আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলী সেখান অবস্থান করার তথ্য নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় এপিবিএন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি কবে থেকে কেন এই ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।  

২০১৭ সালে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান নেন। তখন থেকেই এসব ক্যাম্পকেন্দ্রিক নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছিল বলে বিস্তর অভিযোগ উঠে আরসার বিরুদ্ধে।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে ব্রাশফায়ারে নিহত হন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নেতা মুহিবুল্লাহ। আরসার সহযোগিতা বা নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্বে মুহিবুল্লাহ খুন হন বলে প্রচার পায়। উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর থেকে ১৪ এপিবিএন কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ২ শতাধিক রোহিঙ্গা নাগরিক গ্রেফতার হয়েছেন।

শাহ আলীর হাতে বাংলাদেশি এনআইডি

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহর ‘ভাই’ শাহ আলী চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজার এলাকার স্থায়ী ঠিকানায় বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এনআইডি নম্বর- ১৯৭১১৫৯৪ ১২০০০০০১৮।

গত রোববার শাহ আলীকে অস্ত্র, মাদকসহ গ্রেফতারের পর উখিয়া থানায় করা মামলার এজাহারে পুলিশ এ তথ্য উল্লেখ করে। মামালার বাদী ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এসআই মোহাম্মদ রুহুল আজম ঢাকা পোস্ট  জানান, শাহ আলীর কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। তিনি তথ্য গোপন করে কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের জয়নব কলোনির স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।

এমএসআর