সড়ক দুর্ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে ১৯ ঘণ্টা পরও ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইয়াবাসহ ধরা পড়া আলমগীর নামে ওই ব্যক্তিকে দিয়েই গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই সুযোগে আলমগীর ইচ্ছে করেই গাড়ি খাদে ফেলে পালিয়ে যান।

জানা গেছে, সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোল প্লাজায় তল্লাশি চৌকিতে একটি গাড়িকে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। সেটি এক কনস্টেবলকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে ওই গাড়িটি ধরা হয় এবং ইয়াবাসহ গাড়ির চালক আলমগীর হোসেনকে আটক করা হয়। গাড়িতে ৪২ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

এরপর আলমগীরকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় আলমগীর নিজেই গাড়ি চালান। এসপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে তাকে নিয়ে আবার থানায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন এসআই শরীফুল ইসলাম ও কাজী সালেহ এবং এএসআই রফিকুল ইসলাম। তবে তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারতেন না। ফলে তারা আলমগীরকে আবারও গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দেন। সোনারগাঁ পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় আসার পর গাড়িটি রাস্তার পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে লাফ দিয়ে নেমে পালিয়ে যান আলমগীর। এতে দুই এসআই শরীফুল ইসলাম ও কাজী সালেহ নিহত হন। গুরুতর আহত হন এএসআই রফিকুল।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটার পর ইয়াবাসহ ধরা পড়া আলমগীর পালিয়ে যায়। তাকে এখনো ধরা যায়নি। তাকে ধরা গেলে ঘটনাটি আরও পরিষ্কার হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সোনারগাঁ পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম ও কাজী সালেহ নিহত হন। তারা দুজন সোনারগাঁ থানায় কর্মরত ছিলেন। শরীফুল ইসলাম গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার চরভাইপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। আর কাজী সালেহ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে

এ ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম আহত হন। তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেখ-ফরিদ/এনএ/জেএস