বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীকে হত্যার পর এক বছরের শিশুসন্তানকে রাস্তায় ফেলে যান অভিযুক্ত স্বামী। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে রাস্তার পাশে শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ প্রথমে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর এক কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায় শিশুর মায়ের মরদেহ।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার।

স্থানীয় ও পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে শিশুর কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। দুই বছর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেতগ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার তামিম সিকদারের সঙ্গে বিয়ে হয় আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রাশিদা বেগমের। এর আগে একই উপজেলার পয়সা গ্রামের মোকদ্দেসের সঙ্গে রাশিদার বিয়ে হয়েছিল। তবে দুই বছর আগে রাশিদা দ্বিতীয় বিয়ে করেন ঠিকাদার তামিম শেখকে। দুজনে আগৈলঝাড়া উপজেলায় একটি ঘর ভাড়া করে থাকতেন। তাদের ঘরে এক বছর আগে একটি ছেলেসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।

তবে বিয়ের পর তামিম রাশিদাকে বিভিন্ন কারণে মারধর করতেন। এ জন্য গত বছর বরিশাল আদালতে তামিমের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেন রাশিদা। সেই ক্ষোভ ও পারিবারিক বিরোধের কারণে বুধবার সন্ধ্যা রাতে মাথায় আঘাত করে ভাড়া বাসায় বসে রাশিদাকে হত্যা করে মরদেহ উপজেলা সদরের সেতুর নিচে ফেলে দেন। ওদিকে এক বছরের শিশুসন্তানকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাছে ফেলে পালিয়ে যান তামিম।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত খুনি তামিম শেখকে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি গোপালগঞ্চের বেতগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, হত্যায় অভিযুক্ত মূল আসামি তামিম শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি। উদ্ধারের সময় নিহতের মাথায় একাধিক আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তার স্বীকারোক্তি এখন যাচাই-বাছাই চলছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ