ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা ও সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত স্বপন উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্যানিটারি ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য বিল্পব জানান, তাদের ইউনিয়নে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর ২টি সামাজিক দল রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলযোগ লেগেই থাকে। নিহত স্বপন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের সামাজিক দলের লোক ছিল।

স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে জুলফিকার কাইছার টিপুর সমর্থক সারুটিয়া গ্রামের মেহেদি হাসান স্বপন নামের ওই যুবককে মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে রাতে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়।

সেখান থেকে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে নির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন। নির্বাচন-পূর্ব ও পরবর্তী সহিংসতায় এ নিয়ে ওই ইউনিয়নে নিহত হলেন পাঁচজন।

পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইসার টিপু দাবি করেছেন, নিহত স্বপন তার সামাজিক দলের লোক।

সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, নিহত স্বপন শুধু তার সামাজিক দলের লোকই না বরং একজন ভালো কর্মী। এই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নিয়ে ফায়দা লুটতে প্রতিপক্ষ নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ নিয়ে তার ইউনিয়নে পাঁচজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। 

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি।

আল মামুন/এনএ