সিলেটে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। দিনদিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন শত শত মানুষ। আক্রান্তদের অনেকেই শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তারা ছুটছেন বিভিন্ন হাসপাতালে। যার ফলে হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়তে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। হাসপাতালে চাপ বাড়লেও সিলেটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবখানে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। 

বাস, ট্রেন, হোটেল ও বাজারসহ সবখানেই একই অবস্থা। বাসে যত সিট তত যাত্রী, হ্যান্ডস্যানিটাইজার এবং সবার মুখে মাস্ক থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে সেসব সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। বাসে গাদাগাদি যাত্রী, হ্যান্ডস্যানিটাইজার নেই বললেই চলে এবং মাস্ক নেই অনেকের মুখে। হোটেল ও রেস্টুরেন্টে টিকা কার্ড নিয়ে প্রবেশের নিদের্শনা থাকলেও কোথাও তা দেখা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে বাজারে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দিলেও কেউ তা মানছে না।

রোববার (২৩) জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে বাস, হোটেল ও বাজারে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭ জন। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল শনিবার পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০ জনে। নমুনা পরীক্ষায় ১ জানুয়ারি যেখানে শনাক্তের হার ছিল মাত্র ১.৩১ শতাংশ, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে শনিবার পর্যন্ত এই হার দাঁড়িয়েছে ২৩.৯৮ শতাংশে।

সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা নেই। মাস্ক ছাড়াই মানুষ অবাধে চলাফেরা করছে। তাই করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। 

তিনি আরও বলেন, যেভাবে করোনার উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে কোনোভাবেই এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

আরআই