নীলফামারীর দারোয়ানীতে লেভেলক্রসিংয়ে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তারা সবাই উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন রোমানা আক্তার (৩৫), সায়েরা বেগম (৩৩) ও শেফালী অক্তার (২৮)। এছাড়া আহতরা হলেন মিনা পারভীন, নাসরিন আক্তার, কুলসুমা, অহিদুল ইসলাম ও রওশন আরা। হতাহতরা সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ধনীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আমির আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুইজন মারা যান। এছাড়া আহত দুজনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ও দুজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি অটোরিকশাযোগে উত্তরা ইপিজেডের কয়েকজন শ্রমিক কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় নীলফামারী-সৈয়দপুর রেলপথের দারোয়ানীতে অটোরিকশাটি লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় নীলফামারী থেকে চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মেজবাহুর হাসান চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে একজন, হাসপাতালে আনার পথে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ‘অটোরিকশায় ৮ জন যাচ্ছিলেন উত্তরা ইপিজেডে। কুয়াশার কারণে বুঝতে না পারায় লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়েন তারা। গত বছর ৮ ডিসেম্বর নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ভাই-বোনসহ চারজন নিহত হন।

শরিফুল ইসলাম/এমএসআর