খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে আওয়ামী লীগ সরকার লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এ বন্দরকে ঘিরে চারপাশে বহু কলকারখানাসহ মোংলা ইপিজেড গড়ে উঠেছে, সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার নারী শ্রমিক কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। 

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন উপলক্ষে খুলনা-মোংলা আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে খুলনার হোটেল সিটি ইনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

‘তথ্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য-ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমের সম্প্রসারণ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় দিবসটি পালিত হয়।

বন্দরে বিদেশি জাহাজ আসার পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখ করে কেসিসি মেয়র বলেন, ২০২১ সালে করোনার মধ্যেও বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পণ্যবাহী জাহাজ খালাস হয়েছে। পদ্মাসেতু চালু হলে এ বন্দরে জাহাজ আসার পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। নিয়মিত নদী খনন করে নাব্যতা বজায় রাখা এবং বন্দর সংলগ্ন রাস্তাগুলো ৬ লেনে উন্নীতকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

মেয়র খালেক আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের বাজেট ছিল বিদেশি সাহায্য নির্ভর। বিগত ৩০ বছরে বাজেটের আকার ১০ গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা কমিয়ে এখন আমাদের বাজেটের ৯৫ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়। এর মূলে রয়েছে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি। এজন্য তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান।  

খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেটের কমিশনার মুহাম্মদ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, খুলনা কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার আ স ম ওয়াহিদুজ্জামান, বাগেরহাট চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন ও মোংলা কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিএন্ডএফ) সভাপতি মো. সুলতান হোসেন খান।

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস