সন্তানের জন্ম হলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তথ্য দিলেই বাড়ি থেকে কাগজ সংগ্রহ করে ১ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে বাড়িতে বিনামূল্যে নিবন্ধনপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাওছার রহমান। শুধু জন্মসদন নয়, বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন মৃত্যুসনদও।

সম্প্রতি সারাদেশে যখন জন্মনিবন্ধন পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, ঠিক তখনই ব্যতিক্রম এক উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এতে খুশি ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সাহিদা বেগম জানান, ইউনিয়ন পরিষদে সন্তানদের জন্মনিবন্ধন করতে গেলে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ওখানকার লোকেরা বলে আজ হবে, কাল হবে। আবার কখনো টাকা বেশি চায়। কিন্তু এই চেয়ারম্যান আসার পর গ্রাম পুলিশকে খবর দিলে বাড়ি থেকে এসে কাগজপত্র নিয়ে যায় আবার জন্মনিবন্ধনের কাগজ করে বাড়িতে চেয়ারম্যান নিজে পৌঁছে দেয়। এতে আমাদের অনেক ভালো হইছে। বাড়িতে বসে কোনো ঝামেলা ছাড়াই জন্মসনদ পাচ্ছি।

রফিক নামের আরও একজন বলেন, এই সেবা চালু করায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। এতে সময়ের পাশাপাশি আমাদের ভোগান্তি কমে আসবে। আমরা চাই এটার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

স্থানীয় সমাজসেবক রাজ্জাক বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো কাজ। বর্তমান সময়ে যেখানে জন্মনিবন্ধন পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে, সেখানে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি, এটাই খুবই ভালো কাজ।

খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাওছার রহমান বলেন, যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যুসনদ পেতে এসে অনেককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, তাই সেবাপ্রত্যাশীদের কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ আমি নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কাউকে পরিষদের আসতে হবে না। তারা শুধু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। আমি ১ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যুসনদ বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেব। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে।

এনএ