ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার আগামীকাল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। 

শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচটি বাণিজ্যিক সংগঠনের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিএসএফ প্রতিনিধিদের সমঝোতা বৈঠকে সাময়িকভাবে ধর্মঘট তুলে নেন ব্যবসায়ীরা। 

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, টানা পাঁচ দিনের ধর্মঘটে পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় কলকারখানায় উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। সরকার স্বাভাবিক রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। 

পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিএসএফ বন্দরে প্রবেশ নিয়ে নানা নিয়ম চালু করে বন্দর ব্যবহারকারীদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করলে ভারতের বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ পাঁচটি বাণিজ্যিক সংগঠন ধর্মঘট ডেকে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে এ পথে আমদানি-রফতানি  বন্ধ করে দেয়। 

পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, বৈঠকে আগামী এক মাসের মধ্যে বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে বন্দরে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিএসএফ অকারণে হয়রানি করবে না বলে জানিয়েছে বন্দর। এমন সমঝোতা সিদ্ধান্তে ধর্মঘট তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, ভারতের অংশে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন।  আটকে পড়া পণ্য বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে যাতে দ্রুত ব্যবসায়ীরা খালাস নিতে পারেন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরএআর