ফরিদপুর সদরের কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে সোয়া ৭টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ও নির্বাচন আয়োজনকারী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

বণিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বণিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। করোনার সময় এ নির্বাচন আয়োজন সঠিক হবে না, মর্মে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুল আলম ওই বাজার বণিক সমিতির আহ্বায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. জুলফিকার আলী মিনুকে  ‘কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন স্থগিত রাখার’ অনুরোধ জানান।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাপক জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই করোনা সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত এ নির্বাচন স্থগিত রাখার সুপারিশ করা যাচ্ছে।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার রাত পৌনে ৭টার দিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।

খবর পেয়ে কানাইপুরে যান ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিপক রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, ফরিদপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল। 

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, নির্বাচন কাল হবে কি না- তা নিয়ে বৈঠক চলছে। বৈঠক শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৩৪ জন। নির্বাচনে সভাপতি পদে লিয়াকত আলী মাতুব্বর, শেখ আকতার ও হেলাল মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তুষার খান, রঘুনাথ সিকদার ও সোহেল আরমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জহির হোসেন/এসকেডি