আলাউদ্দীন আলা

যশোরের কেশবপুরে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে স্থগিত কেন্দ্রের ভোটে নৌকা প্রার্থীর কাছে পিছিয়ে থেকেও জিতলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলাউদ্দীন আলা। নৌকার প্রার্থী গৌতম রায়ের চেয়ে ৪৫৮ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আলাউদ্দিন। স্থগিত নতুন মূলগ্রাম কেন্দ্রে ২ হাজার ১১৯ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৪ ভোট পড়েছে। 

এর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীকের আলাউদ্দীন আলা পেয়েছেন ১ হাজার ১৭৩ ভোট। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের গৌতম রায় পেয়েছেন ৫১৩ ভোট। সর্বোচ্চ ৬ হাজার ১০২ পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আলাউদ্দীন আলা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের গৌতম রায় পেয়েছেন ৫ হাজার ৯০০ ভোট।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, কেশবপুর সদর ইউনিয়নের নতুন মূলগ্রাম ওয়ার্ডের স্থগিত নির্বাচনে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। ফলাফলে মোটরসাইকেল প্রতীকের আলাউদ্দিন ৬ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  

প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নতুন মূলগ্রাম কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৬০ জন যুবক হঠাৎ জোর করে কেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের মারধর ও ইট ছুড়তে থাকে। এ সময় বুথে ঢুকে দ্রুত ব্যালটে সিল মারতে থাকেন তারা। সাধারণ ভোটাররা ভয়ে এদিক সেদিক ছুটতে থাকেন। পরবর্তীতে এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র দাস প্রায় এক হাজার ব্যালটে সিল মারার ঘটনায় এ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেন। 

ভোটকেন্দ্রেটিতে ফলাফল স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কেউই শেষ বিজয়ের হাঁসি হাসতে পারেননি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৮টি ওয়ার্ডের ভোটের হিসেবে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী গৌতম কুমার রায় পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৩৮৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত অধ্যাপক আলাউদ্দীন আলা মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট পান ৪ হাজার ৯২৯টি। নৌকার প্রার্থী ৪৫৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন।

জাহিদ হাসান/আরএআর