নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা
পিরোজপুরে ইন্দুরকানীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক বিজয়ী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের হামলায় পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর ছয় সমর্থক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের শামসুল হক হাওলাদার (৫৮), মো. শাজাহান হাওলাদার (৫০), সুলতান হাওলাদার (৫৫), আনিসুর রহমান (৩২), রুবেল হাওলাদার (২৮), রাসেল হাওলাদার (২৮)।
বিজ্ঞাপন
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইন্দুরকানীর তালুকদারহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির।
আহত রুবেল হাওলাদার বলেন, আমরা ৫/৬ জন বিকেলে তালুকদারহাট বাজারে বের হই। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই ফুটবল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন হিরু তালুকদার তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। তার বিরুদ্ধে গিয়ে আমরা টিউবওয়েল নিয়ে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. শাহজাহান হাওলাদারের পক্ষে নির্বাচন করেছি, সেজন্য তিনি লোক নিয়ে এ হামলা চালান। এ হামলায় আমরা ৬ জন আহত হয়েছি। পরে আমাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বিজ্ঞাপন
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইসতিয়াক আহমেদ জানান, ইন্দুরকানী থেকে জখম অবস্থায় ছয় জনকে নিয়ে আসা হয়। পাঁচ জনের মাথায় গুরুতর জখম। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুই ইউপি সদস্য সমর্থকদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অভিযান চলছে। এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৭ ফেব্রুয়ারি ইন্দুরকানীসহ দেশের ১৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তমে ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪০ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি মনোনীত একজন ও জাতীয় পার্টির তিন জন চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।
মো: আবীর হাসান/এনএফ