অপহরণকারীদের হাত থেকে যেভাবে ফিরল কিশোরী
ছবি: সংগৃহীত
অপহরণকারী চক্রের হাতে অপহরণ হওয়ার পর নিজ বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেয়ে ঘরে ফিরেছে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৪)। সে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বের হয় ওই ছাত্রী। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সে গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে নীল রঙের একটি মাইক্রোবাস তার পথরোধ করে। পরে মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা লোকজন তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে।
বিজ্ঞাপন
অপহরণের শিকার ছাত্রী বলে, মাইক্রোবাসের মধ্যে বোরকা পরা এক মেয়ে ও তিন যুবক বসা ছিল। মাইক্রোবাস আমার পথরোধ করে দরজা খুলে মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা নারী আমার নাম জিজ্ঞাসা করেই আচমকা আমাকে টান দিয়ে গাড়িতে তুলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের দিকে রওনা দেয়। এরপর আমি অচেতন হয়ে পড়ি।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার নবীনগর এলাকায় মাইক্রোবাসটি থামা অবস্থায় আমার জ্ঞান ফিরে আসে। এ সময় দেখতে পাই ওই নারী আমার ডান হাত ধরে আছে, বাঁ পাশের তরুণটি নেই, গাড়ির দরজা খোলা। এ সুযোগে আমি নারীকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড় দিই। পরে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে আশ্রয় নিই।
বিজ্ঞাপন
পরে চক্রের সদস্যরা কিছুদূর পর্যন্ত আমার পিছু নেয়, এরপর চলে যায়। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে আমার মা-বাবাকে ফোনে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত সেখানে পৌঁছে আমাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
ছাত্রীর মা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমার মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় সবাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিতে থাকি। পরে পথিমধ্যে ওর স্কুলব্যাগ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ধারণা করি তাকে অপহরণ করা হয়েছে। দুপুরের দিকে খবর পাই আমার মেয়ে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় আছে। পরে আমরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে মেয়েকে পাই।
তিনি আরও বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পায়। কিন্তু দিনের বেলায় এভাবে ব্যস্ত মহাসড়ক থেকে তাকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় আমরা মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চরম শঙ্কায় আছি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ