সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দেওয়া ঘর পেয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ১১টি অসহায় পরিবার।  বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বিমানবন্দর এলাকার পস্তমপুর গ্রামে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। 

প্রতিটি পরিবারকে ১ দশমিক ৫ শতক জমি ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘরগুলোতে দুটি বেডরুম, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর রয়েছে। ঘরগুলোর পাশেই ইবাদতের জন্য মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।  

ঘর পেয়ে খুশি আবদুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা রেলের জমিতে বসবাস করতাম। এই কষ্টের বিষয়টি আমরা সমাজকর্মী জুয়েল ভাইকে জানাই। তিনি আমাদের এই ঘরের ব্যবস্থা করে দিলেন। এখন আর কারও জমিতে থাকতে হবে না। আমাদের এখন নিজের জমি আর ঘর হলো। যারা আমাদের ঘর করে দিলেন করে দিলেন, আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দিক। 

উপকারভোগী আমিনা খাতুন বলেন, আমাদের থাকার কোনো জায়গা ছিল না। আমাদের এ রকম টাকা-পয়সা নেই যে আমরা জমি কিনে ঘরবাড়ি করব। আমরা রেলের জায়গায় থাকতাম।  আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আমাদের ঘরের ব্যবস্থা করে দিল। আমরা এখন ভালোভাবে বসবাস করতে পারব। ইবাদত বন্দেগি করতে পারব। যারা ঘর করে দিয়েছেন, আল্লাহ তাদের ভালো করুন।

ঘর পেয়ে খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে ভাড়া বাসায় থাকতাম। জমি কিনে ঘর করার কোনো সামর্থ্য নেই আমার। বাসা ভাড়া পরিশোধ করা নিয়ে প্রতি মাসে অনেক কষ্ট করা লাগতো।  অবশেষে প্রতিমাসে ভাড়া দেওয়ার অবসান হলো। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আমাদের ১১টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারের জন্য কোর্টে ১ দশমিক ৫ শতক করে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। আমরা জমিসহ ঘর পেয়ে অনেক খুশি ও আনন্দিত। যারা এ কাজে সম্পৃক্ত আছেন, তাদের আল্লাহ ভালো করুন।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত প্রতিনিধি আক্তার আহমেদ জুয়েল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১১টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হল। যাদের কোনো জমি নেই, বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন, মূলত তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজন মিলে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১১টি পরিবারের জন্য জমিসহ ঘর তৈরি করে দেন। 

যারা ঘরগুলো পেলেন, তারা অনেক অসহায় ও নিঃস্ব মানুষ। এখানে প্রতিটি পরিবারের জন্য দুটি বেডরুম, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যার পুরো খরচ বহন করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন,জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ হিসেবে মানুষের সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। মানুষের মধ্যে সেই মানুষটিই উত্তম যিনি মানুষ ও মানবতার কাজ করেন। মানবতার জন্য ভালো কাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে ঠাকুরগাঁওয়ের ১১টি অসহায় ও ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হলো। যারা এই মহান কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, আল্লাহ সবাইকে উত্তম প্রতিদান দেবেন। 

এম এ সামাদ/আরএআর