রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ও হার কমেছে। এ সময়ে বিভাগের দিনাজপুরে করোনা আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগের ৭৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার কমে ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।

সূত্র জানায়, এর আগের দিন শনিবার ৩৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশে। এদিন একজনের মৃত্যু হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা) শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরে ৩৭, পঞ্চগড়ের ২০, নীলফামারীর ২১, লালমনিরহাটের ১৩, কুড়িগ্রামের ৩, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৬, দিনাজপুরে ২৭ ও গাইবান্ধার ২২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৫১ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গুরুত্বর ৭৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সংকটাপন্ন ১৮ রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বিভাগের মধ্যে দিনাজপুর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩৮ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া রংপুরে ২৯৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫৬, পঞ্চগড়ে ৮৩, নীলফামারীতে ৯১, লালমনিরহাটে ৭১, কুড়িগ্রামে ৬৯ ও গাইবান্ধায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০২০ সালের মার্চে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৩ লাখ ২৯ হাজার ৮২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে বিভাগজুড়ে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৬৮ জনের।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। বর্তমানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে বের হতে হলে মুখে মাস্ক পরিধান অপরিহার্য।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই