ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
সাভারে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে মেহেদী হাসান রনি (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রনিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগীর বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ছড়িয়ে দেন রনি।
মেহেদী হাসান রনি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার পরানপুর গ্রামের পরানপুর কামিল মাদ্রাসা-সংলগ্ন সাজেদুল ইসলামের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান ভুক্তভোগীর ফেসবুক ওয়ালের বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করতেন। এই সুযোগে কৌশলে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রনি। সম্পর্ক হওয়ায় তারা দুজনে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যেতেন। এ সময় ভুক্তভোগীর অজান্তেই বিভিন্ন সময়ের অন্তরঙ্গ ছবি তোলেন রনি। মাস ছয়েক আগে বাসা থেকে ভুক্তভোগীকে নিয়ে হেমায়েতপুরের সুইচটেক এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে কৌশলে ভিডিও ধারণ করেন।
পরে ভুক্তভোগী তরুণী চার মাস আগে মেহেদী হাসান রনির স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে জানতে পেরে হেমায়েতপুর থেকে চলে আসেন। গত বছরের ২৯ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে রনির কাছে থাকা বিভিন্ন অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করেন রনি। বাকি অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে রনি তার কাছে যাওয়ার জন্য চাপ দেন তরুণীকে। পরে থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত রণিকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সাভারে একটি প্রিন্টিং কারখানার শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে কারখানাটির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে বাংলার মার্ট কারখানার মালিক কাইয়ুমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে মামলা করেন ভুক্তভোগীর নানা। গ্রেপ্তার কাইয়ুম সাভারের তালতলার ছায়াবিথী এলাকার বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান জানান, শ্রমিক ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মাহিদুল মাহিদ/এনএ