ড্রেনের মাটি খুঁড়তে গিয়ে তিনতলা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
খুলনায় ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে তিনতলা একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে নগরীর বাগমারা এলাকার মরহুম মহিউদ্দিন সাহেবের বাড়ির নিচতলার সামনের কিছু অংশ ধসে পড়ে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, ১৫ দিন ধরে ওই ভবনের সামনের ড্রেনের কাজ করছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেলে নির্মাণশ্রমিকরা ভবনের নিচ থেকে মাটি ও ইট তুলে ফেলে। তারা চলে যাওয়ার পর ভবনের নিচের মাটি ও মূল দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। এই খবরে বাড়ির সবাই ভবন ত্যাগ করতে থাকে। স্থানীয়রা ভবন ধসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছে।
বিজ্ঞাপন
মৃত মহিউদ্দিনের জামাই তৌফিকুর রহমান পিন্টু বলেন, বাড়িটি পাকিস্তানি আমলের। ২৫ বছর আগে তার শ্বশুর বাড়িটি কেনেন। তিনতলা ভবনের ওপরে টিনসেডের কয়েকটি ঘর রয়েছে। মালিকসহ ভবনে ১২টি পরিবার বসবাস করে।
এদিকে ১৫ দিন ধরে শ্রমিকরা এখানে মাটি খোঁড়ার কাজ করছে। বিকেলে শ্রমিকদের মূল অংশের নিচ থেকে ইট তুলতে নিষেধ করা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি। তারা বেজের ইট ও মাটি তুলে ফেলে। এর কিছুক্ষণ পরে গাঁথুনি ফেটে যায় এবং বাড়িটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্য ও ভাড়াটিয়ারা আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ত্যাগ করতে থাকে।
বিজ্ঞাপন
রোজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. গোলাম আযম বলেন, কুয়েট, ডিডিসি ও কেসিসির উদ্যোগে সারা শহরে ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে। ড্রেনের জন্য কোথাও সাত ফিট আবার কোথাও আট ফিট করে খোঁড়া হচ্ছে। বাড়িটি ড্রেনের ইটের সোলিংয়ের ওপর নির্মাণ করা। বাড়িটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভবনের নিচ থেকে মাটি যেন পড়ে না যায় সেজন্য বালু ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সকালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স খুলনা সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. সাইদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। আপাতত ড্রেনের খনন কাজ বন্ধ রয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক বাবুল চক্রবর্তী জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাদের খবর দেওয়া হয়। ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে বাড়ির ভেতর থেকে সব সদস্যদের বের করে আনা হয়। কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো নিময় মানা হয়নি। ড্রেনের ইটের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িটি।
মোহাম্মদ মিলন/এসপি