এনজিও কর্মীর কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
নরসিংদীর শহরে এনজিও কর্মী শান্তা আক্তারের (৩১) হাতের কবজি কেটে টাকা ছিনতাই করা আলোচিত ঘটনার মামলার প্রধান আসামি রুবেল মিয়া (২৬), বাদশা মিয়া (২২) ও তাদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১-এর একটি দল। গতকাল বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) র্যাব-১১-এর অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব জানায়, প্রথমে বাদশা ও রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে নরসিংদী সদরের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা থেকে অপর দুই সহযোগী মাহাবুবা আক্তার মেরিনা (২২) ও মিঠি বেগমকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
এখানে বাদশা ও রুবেল ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বাকি দুজন তাদের সহযোগী। কিন্তু গ্রেফতার সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী এবং বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের মধ্যে রুবেলের নামে ৪টি, বাদশার নামে ৮টি এবং মিঠি বেগমের নামে ২টি মামলা চলমান
লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম, অধিনায়ক, র্যাব-১১
বিজ্ঞাপন
এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা, একটি টি-শার্ট, একটি ক্যাপ ও হামলার স্বীকার হওয়া এনজিও কর্মীর মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এই ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় র্যাব-১১।
গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে শহরের সরকারি মহিলা কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) আশার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইসমাইল শিকদার বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ১৫ ডিসেম্বর বেলা পৌনে দুইটার দিকে এনজিও কর্মী শান্তা আক্তার (৩১) নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়া এলাকা থেকে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করে শহরের বাজিড় মোড়ের কার্যালয়ে ফিরছিলেন। এ সময় মো. রুবেল মিয়া ও আব্দুল বাদশা মিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নরসিংদীর পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকার সরকারি মহিলা কলেজ-সংলগ্ন একটি স্থানে ওত পেতে থাকেন। একপর্যায়ে শান্তা আক্তারের টাকাভর্তি ভ্যানিটি ব্যাগ রুবেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শান্তা তার টাকার ব্যাগটি দিতে না চাইলে রুবেলের সহযোগী বাদশা তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে শান্তার বাঁ হাতের কবজিতে কোপ দিলে কবজি কেটে যায়। এরপর টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় দুই ছিনতাইকারীরা। পরে তারা নরসিংদী সদরের ব্রাহ্মণপাড়ায় রুবেলের শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেন। এ বাসাতেই তারা টাকার ব্যাগটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন।
লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, এখানে বাদশা ও রুবেল ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বাকি দুজন তাদের সহযোগী। কিন্তু গ্রেফতার সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী এবং বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের মধ্যে রুবেলের নামে ৪টি, বাদশার নামে ৮টি এবং মিঠি বেগমের নামে ২টি মামলা চলমান।
এনএ