পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় কিশোরকে অপহরণের পর গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। থানায় অভিযোগের দুই দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত কিশোরকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অপহৃত কিশোর মহিপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে রায়হান (২২)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার শ্বশুরবাড়ি তালতলীর উদ্দেশে বের হয়। যাওয়ার সময় তার সঙ্গে ১ লাখ টাকা, তার মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন ছিল। পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যায় রায়হানের স্ত্রী তাকে কল করে তার অবস্থান জানতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনতে পায়। এর কিছুক্ষণ পরে লাইন কেটে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।

একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান শিকদারের মাধ্যমে তার বাবা আবুল কাশেম ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখতে পান। ভিডিওতে দেখা যায়, ‘অপহৃত কিশোর রায়হানকে গাছের সঙ্গে হাত বেঁধে একটি নির্জন বনের ভেতরে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে চার-পাঁচজন যুবক।’

লতাচাপলীর ইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া গ্রামের নেছার সিকদারের ছেলে ইমাম শিকদার ইমনের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন যুবক এ নির্যাতন করছেন। এরপর রায়হানের বাবা আবুল কাশেম শুক্রবার বিকেলে বাদী হয়ে ইমাম শিকদার, মসিউর, ইমরান, বিপ্লব শীলের নাম উল্লেখ করে মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। দুই দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত কিশোর রায়হান উদ্ধার ও আসামি কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি মহিপুর থানা পুলিশ।

রায়হানের বাবা আবুল কাশেম বলেন, ইমাম শিকদার ফোনে কল করে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘আপনার ছেলেকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আরও খারাপ হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। মাদক কারবারের দায়ে একাধিকবার তারা পুলিশের হাতে আটক হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। অপহৃত রায়হানকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

কাজী সাঈদ/এমএসআর/এনএ