এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ফারাজ আয়াজ হোসেন ভবনের (এফএএইচবি) সলিড ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানায় উৎপাদিত ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ গাজীপুরের টঙ্গীর এই কারখানায় প্রেগাবালিন ক্যাপসুল উৎপাদনের অনুমোদন চেয়ে এফডিএর কাছে একটি অ্যাব্রিভিয়েটেড নিউ ড্রাগ অ্যাপ্লিকেশন (এএনডিএ) জমা দিয়েছিল।

এখানে প্রেগাবালিনের ২৫, ৫০, ৭৫, ১০০, ১৫০, ২০০, ২২৫ ও ৩০০ মিলিগ্রামের ৮টি ভিন্ন ডোজের ক্যাপসুল উৎপাদনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।

অনুমোদন পাওয়ায় এসকায়েফ এখন এই অত্যাধুনিক কারখানায় উৎপাদিত প্রেগাবালিন ও তরল নয় এ রকম ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করতে পারবে।

উল্লেখ্য, প্রেগাবালিন মৃগীরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি ওষুধ, যেটি স্নায়বিক বেদনা প্রশমনেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

শিগগির যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এ পণ্য বাজারজাত করা হবে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এসকেএফ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএর অনুমোদন পাওয়া এসকেএফের জন্য একটি বড় ধরনের অর্জন। এর আগে এসকেএফ ইউকে এমএইচআরএ, ইইউ জিএমপি, ভিএমডি ইউকে, ব্রাজিল অ্যানভিসা ও টিজিএ অস্ট্রেলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।

গুণগত মানের দিক দিয়ে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার প্রতিশ্রুতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে এসকায়েফ বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান বলেন, এসকেএফের গুণগত মানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার অবিচল প্রতিশ্রুতি সব সময়ই মানব জাতির সেবা করার প্রয়াসের পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে এবং ইউএস এফডিএর কাছ থেকে পাওয়া এ অনুমোদন বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের জন্য উন্নত মানের পণ্য সরবরাহের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে।

তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত এবং মার্কিন বাজারে প্রবেশের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল বাস্তবায়নের পথে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ যাত্রায় আমরা প্রযুক্তিনির্ভর পরমাণু গবেষণা ও সূক্ষ্ম পণ্য উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রত্যাশা রাখছি, যেন রোগীদের সব ধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে আমাদের প্রতিভাবান কর্মীরা এসকেএফকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলে ধরবে।

করোনাভাইরাস মহামারির চিকিৎসায় এসকেএফ পৃথিবীর প্রথম জেনেরিক রেমডেসিভির ব্র্যান্ড রেমিভির, প্রথম জেনেরিক মলনুপিরাভির ব্র্যান্ড মনুভির এবং নিরমাট্রেলভির ট্যাবলেট ও রিটোনাভির ট্যাবলেটের সংমিশ্রণে তৈরি প্যাক্সোভির বাজারে এনেছে।

এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ট্রান্সকম গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব প্রয়াত লতিফুর রহমান। এসকেএফ ৩২ বছর ধরে ওষুধ উৎপাদন করছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিশ্বের ৬ মহাদেশের ৬৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে।

আইএসএইচ