‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টে’র আওতায় ১২ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) শেরে বাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর দ্যান দ্যান চেন চুক্তিতে সই করেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা। বাকি সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং মৎস্য অধিদপ্তর।

বিশ্বব্যাংক জানায়, সব ঋণের উপর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ৫ বছরের রেয়াতীকালসহ ৩৫ বছরে ঋণটি পরিশোধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামোসমূহ পুনর্বাসন ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, কৃষিতে পানির দক্ষ ব্যবহার এবং ক্লাইমেট স্মার্ট পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেচ কাঠামো ও অন্যান্য সকল কাজের গুণগত মান রক্ষা করে কৃষি এবং মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্প এলাকার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং কমপক্ষে ১২টি ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণপূর্বক প্রকল্প এলাকায় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচের পানির ব্যবহার শতকরা ৫০ শতাংশ সাশ্রয়ী করা হবে। ক্লাইমেট স্মার্ট মৎস্য চাষ প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।

এসআর/এসকেডি