যেকোনো সময় আরও সহজে, স্বচ্ছতা, নিরাপত্তার সঙ্গে কর্মীদের বেতন-ভাতা বিতরণ ও পরিবেশকদের (ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর) সঙ্গে লেনদেনে এখন থেকে বিকাশের বিজনেস সল্যুশন ব্যবহার করবে বসুন্ধরা পেপার মিলস লি. ও বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লি.। 

এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিকাশের সঙ্গে প্রতিষ্ঠান দুটির চুক্তি সই হয়। এর আওতায়, বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের এ দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন ও দৈনিক ভাতা, রিটেইল কমিশন বিতরণে ‘বিকাশ ডিজবার্সমেন্ট সল্যুশন’ ব্যবহার করবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।  

পাশাপাশি, দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি। একইভাবে, প্রায় পাঁচ লাখ খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকেও বিকাশে টাকা সংগ্রহ ও দেওয়ার সেবা পাবে বসুন্ধরা। ফলে ছুটির দিনসহ যেকোনো দিন যেকোনো সময় লেনদেন সুবিধা থাকায় গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন সেবা তৈরি হবে। 

বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

সময় ও ব্যবস্থাপনা খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় এবং স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ায় বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করে কর্মীদের সরাসরি বেতন-ভাতা দেওয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিকাশে বেতন দেওয়ার সেবা গ্রহণ করায় একদিকে কর্মীরা যেমন সহজে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন, অন্যদিকে ক্যাশ টাকার ঝামেলা দূর হওয়ায় সামগ্রিক বেতন ব্যবস্থাপনা আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় আট শতাধিক প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে তাদের কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে।

অন্যদিকে, সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলাররাও দেশের যেকোনো প্রান্তে বসে সহজে ও নিরাপদে তাদের ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। 

আশির দশকের শুরুতে যাত্রা শুরু করা বসুন্ধরা গ্রুপ এখন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। আবাসন ব্যবসা দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশে বর্তমানে গ্রুপটির পেপার, টিস্যু ও হাইজিন পণ্য, সিমেন্ট, এলপি গ্যাস, শিপিং, অয়েল অ্যান্ড গ্যাস, ফুড এন্ড বেভারেজ, মিডিয়া, ট্রেডিংসহ প্রায় ৪০টির অধিক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এসআই/আরএইচ