ভোজ্যতেল নিয়ে মিল পর্যায়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিনটি সরবরাহ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠান ৩টি হলো- এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল (রূপচাঁদা ব্র্যান্ড)।

সোমবার (২৮ মার্চ) ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ এডিবল অয়েল মিলে ভোক্তা অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ টিম নিয়োগ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন তারা।

ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অধিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গত ১৩ মার্চ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে এস আলমের কারখানা পরিদর্শন করা হয়। ওই সময় তাদের কারখানায় ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ ছিল না। তেল রিফাইনারি ও বোতলজাতকরণ শাখা বন্ধ ছিল। ৫ লিটারের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৩৫ টাকা লেখা ছিল, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। এরপর ২৭ মার্চ আবারও পরিদর্শন করা হয়। দ্বিতীয় বার দেখা যায়, সরবরাহ আদেশ বা এসওতে একক মূল্যের উল্লেখ নেই। নিয়মবহির্ভূতভাবে এসওগুলো কারখানায় আসার আগে হাতবদল হচ্ছে।

এসব অনিয়মের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আগামী ৩০ মার্চ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে টিকে গ্রুপের কারখানায় পাওয়া অনিয়ম সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটি ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭ হাজার ৩৭১ টন পাম তেল বিপণন করলেও মার্চে এসে তা কমে ২১ হাজার ১১৯ টনে নেমে আসে। হঠাৎ সরবরাহ কমে যাওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ৩০ মার্চ টিকে গ্রুপের চেয়ারম্যান অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪ হাজার ৩৮ টন তেল সরবরাহ করা হলেও মার্চ মাসে তা ৮ হাজার ২৬৩ টনে নেমে আসে। তাদের কাছেও সরবরাহ কমানোর ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য তাদের চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৩০ মার্চ হাজির হতে বলা হয়েছে।

এসআই/জেডএস/জেএস