ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালান না নিলেও ক্রেতাকে ভ্যাট দিতে হচ্ছে। কারণ এখন পণ্যের মূল্যের মধ্যেই ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাই কেউ চালান না নিলেও তাকে ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) সম্মেলন কক্ষে ইএফডি চালানের লটারির ড্র উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি) আব্দুল মান্নান শিকদার এ তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য মান্নান শিকদার বলেন, ইএফডি চালানের ব্যবহার বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, বিক্রেতা চালান দেন না কিংবা ক্রেতা চালান নেন না। বর্তমান বাস্তবতায় আপনি চালান না নিলেও ভ্যাট দিচ্ছেন। কারণ এখন পণ্যের মূল্যের মধ্যেই ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেহেতু মূল্যের মধ্যে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক যোগ করা থাকবে সেহেতু চালান কেউ নিক বা না নিক সেটা বড় বিষয় নয়।

তিনি বলেন, ইএফডি মেশিন বসানোর পরে ভ্যাট আদায় বেড়েছে। তবে প্রত্যাশা অনুসারে বাড়েনি। চালান নেওয়া না নেওয়া নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তবে অটোমেটেড সিস্টেম চলমান রয়েছে। ইএফডি চালানের ব্যবহার ও ভ্যাট আদায়ের বিষয়টি মনিটরিং করতে প্রত্যেক কমিশনারেটে আমাদের টিম রয়েছে। তারা বিষয়টি মনিটরিং করছেন। আশা করি ফলাফল ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে।

এনবিআর থেকে ১০১ জনকে ইএফডি চালানোর ওপর পুরস্কার দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এমন মন্তব্য করে এনবিআর কর্মকর্তা বলেন, এর কারণ হলো মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। অনেকই বিষয়টি জানে না। তারা ভ্যাট চালান ফেলে দেন কিংবা ফলাফলে অংশ নেন না। সেজন্য আমরা প্রচার-প্রচারণার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি।

ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের ১৫তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। লটারির ড্র এনবিআরের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৪১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসিয়েছে এনবিআর।

আরএম/এমএইচএস