বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করার আহ্বান জানিয়েছে জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই)।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) নগরীর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জেবিসিসিআই এর একটি প্রতিনিধি দল পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এসময় জেবিসিসিআই এর প্রতিনিধিরা এ আহ্বান জানান। আরও উপস্থিত ছিলেন জেবিসিসিআই এর সভাপতি আসিফ এ চৌধুরী, সহ-সভাপতি এম জালালুর হাই, সাধারণ সম্পাদক তারেক রাফি ভুঁইয়া, পরিচালক ইউজি আনন্দ প্রমুখ। 

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি আলাদা এসএমই বিভাগ এবং এ খাতের জন্য একটি পৃথক ব্যাংকের প্রস্তাবও করেছে জেবিসিসিআই। এসএমই ও এফটিএ এর উপরে একটি সার্ভে রিপোর্টও পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে পেশ করে জেবিসিসিআই এর প্রতিনিধিরা।

জেবিসিসিআই এর প্রতিনিধিরা জানান, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাই। এজন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সম্পাদন এবং উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তারা জানান, এরইমধ্যে জাপানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো এফটিএ চুক্তি করেনি। ফলে বাংলাদেশ যাতে দ্রুত এফটিএ চুক্তি করে এজন্য মন্ত্রীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে জেবিসিসিআই। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর চলমান বাণিজ্য-সুবিধা অব্যাহত রাখতে চায় জাপান। এজন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সম্পাদন এবং উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে মন্ত্রীকে জানিয়েছি।

জেবিসিসিআই সভাপতি আসিফ এ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে জাপানের কাছ থেকে। ২০২৫ সালের পর কিন্তু এই সুবিধা থাকছে না। অথচ বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলো এফটিএ চুক্তি করে ফেলেছে। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য চাপে পড়বে। তাই দ্রুত এফটিএ চুক্তি করা এখন সময়ের দাবি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি বাংলাদেশের উন্নয়নে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে। জাপানকে সবসময় উচ্চ মর্যাদা দিয়ে থাকে সরকার। জাপান এশিয়ার বড় অর্থনৈতিক শক্তি। আমরা এটাকে কাজে লাগাতে চাই। অনেকে বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ চুক্তি করতে তেমন আগ্রহ দেখায় না। তবে জাপান নিজেই এফটিএর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। জাপানের সঙ্গে যাতে দ্রুত এফটিএ চুক্তি হয় সেজন্য আমার তরফ থেকে যেটুকু পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার তাই নেওয়া হবে।

এসআর/জেডএস