বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, সেটা সত্যি। সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটাও সত্যি। আমরা মাত্র ১০ শতাংশ তেল উৎপাদন করি, ৯০ শতাংশই বাইরে থেকে আসে। 

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তেলের দাম নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর ছাপা হচ্ছে। কিন্তু কোথাও বলা হচ্ছে না, আন্তর্জাতিক বাজারেও তেলের দাম বেড়েছে। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ প্রায় সব দেশেই তেলের দাম বেড়েছে। গত এক বা দেড় মাসে গ্লোবাল মার্কেটে দামের কেমন তারতম্য সেটা নিয়ে কোনো নিউজ করা হচ্ছে না।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ও উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেনের শুরুতে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তেল নিয়ে কোথায় কোথায় সমস্যা হয়েছে সেটা চিহ্নিত করেছি। আমরা তা প্রকাশ করব।

এখন যে তেল কিনছি ১৯৮ টাকায় সে তেল এলসি করা হয়েছিল অন্তত ৪৫ দিন আগে। সে সময় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কত ছিল— জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কে কত দামে খুলেছে (এলসি) সেটার চেয়ে বড় কথা যে মাসটা ঠিক করি আমরা, সে মাসে তারা কত দামে ক্লিয়ার করল। সবগুলো এলসি কত দামে তারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ক্লিয়ার করল, সেটা ধরে করেছি।

তিনি বলেন, এটা যে আজকে ২৫০ টাকা হচ্ছে, সেটা ধরে হচ্ছে না। কত আগে খুলেছে সেটা মূল বিষয় নয়। কী দামে চট্টগ্রাম বন্দরে সব ক্লিয়ার হলো, সেটার গড় করে নির্ধারণ করা হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল (রোববার) দাম ছিল ১ হাজার ৯৫০ ডলার (প্রতি টন)। আমাদের নির্ধারণ করার সময় ছিল ১ হাজার ৭৫০ ডলার। তাই ৪০ বা ৪৫ দিন ফ্যাক্টর না।

এসএইচআর/এসএম