রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে প্রথম কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ এক্সপোয় অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তুরস্ক, জাপান, আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, চীন ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৯টি দেশের ৬০টি ব্র্যান্ড।

ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশের আয়োজনে মেলার স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার রিহ্যাব ও সহযোগিতায় রয়েছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আইসিসিবির ৪ নম্বর হলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শুধু দাম কম হলে মানুষ পণ্য কিনে না। পণ্যের টেকসইয়ের ওপর খেয়াল রাখতে হবে। পণ্যের মূল্যের সঙ্গে কোয়ালিটির দিকেও খেয়াল রাখতে হবে ব্যবসায়ীদের। মানুষ আজকাল কোয়ালিটি সম্পন্ন জিনিসপত্র চায়। যেখানে অনেকের কাছে টাকা তেমন ফ্যাক্টর নয়। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে কোয়ালিটি সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করতে হবে। বিদেশ থেকেও মানুষ পণ্য ক্রয় করে আনছে, এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই পণ্যের গুণগত মান থাকতে ও সাশ্রয়ী মূল্য হতে হবে। তা না হলে বাজারে ব্যবসায় টিকে থাকা যাবে না।

আয়োজকরা জানান, তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকছে মাই কিচেন, প্লাটিনাম স্পন্সর ভেলোরি অ্যান্ড বোর্চ, ব্যাগনো ডিজাইন ও সুইস প্লাস এবং গোল্ড স্পন্সর আর এ কে সিরামিকস, নল্টে,  নাদিয়া ফার্নিচার ও গানি মার্বেল টাইলস। প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক এবং সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এ এক্সপোতে। সেই সঙ্গে রয়েছে স্পট অর্ডারের সুযোগ।

পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি ৩ দিন ব্যাপী এই এক্সপোতে স্টুডেন্ট ডিজাইন কম্পিটিশন , ওয়ার্কশপ , বায়ার সেলার মিটিং, ইনোভেশন এক্সচেঞ্জ ও জব সার্চের সুযোগও রয়েছে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশের পরিচালক মার্কেটিং নাসিমুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আরিফ, মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষকতাকারী প্রতিষ্ঠান মাই কিচেনের হেড অব অপারেশন শওকত ইমরান খান প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি