পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোনে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হবে। যাতে কর্মসংস্থান হবে ১১ হাজার লোকের। বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেজা’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোন স্থাপনের প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেজার নির্বাহী সদস্য ও মহাব্যবস্থাপকদের পাশাপাশি সিটি গ্রুপের সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, পূর্বগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে, যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১১ হাজার লোকের। আগামী ৫ মাসের মধ্যে সব প্রকার সমীক্ষার কাজ শেষে চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়া সাপেক্ষে নির্মাণকাজ শুরু করা হবে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে।

সভাপতির বক্তব্যে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন সিটি গ্রুপকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ঢাকার নিকটবর্তী স্থানে হওয়ায় পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোন দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাবে। পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোনের উদ্যোক্তারা জোনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষার কাজ দ্রুত শেষ করে চূড়ান্ত লাইসেন্স নিয়ে শিল্প নির্মাণ কাজ শুরু করবে বলে আমি আশা করি।

তিনি বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে ইউনিট ইনভেস্টরদের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ সব ধরণের ইউটিলিটি সুবিধা প্রদানের জন্য সরকারি বিভিন্ন সংস্থা অকাতরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বেজা হয়রানিমুক্ত সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। এ পর্যন্ত বেজা অনেকগুলো সার্ভিস অনলাইনে দিচ্ছে। নিজ নিজ কর্মস্থলে বসেই অনলাইনে সেবা প্রাপ্তির আবেদন করতে পারছেন বিনিয়োগকারীরা।

বেজা ইতোমধ্যে ২০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দিয়েছে। ১২টিকে দিয়েছে চূড়ান্ত লাইসেন্স। এসব বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে এবং কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার লোকের। পূর্বগাঁও ইকোনমিক জোনে স্টিল মিলস, কেমিক্যালস ও সিরামিক পণ্য খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে উদ্যোক্তারা পরিকল্পনা করেছেন।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ৯৪ একর জমিতে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। ভবিষ্যতে এ ইকোনমিক জোনকে ১৫০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। যোগাযোগের দিক থেকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় নৌপথ ও সড়কপথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।

এসআর