পুঁজিবাজার সম্প্রসারণ ও গতিশীল করতে প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। এই জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনের পর পরই ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়৷

ডিএসই মনে করে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে৷ ২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী যে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে। সে জন্য ডিএসই বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে৷

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ এতে বাংলাদেশের ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। ১০ শতাংশ বা তার কম শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তরকারী লিস্টেড কোম্পানির কর হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা পুঁজিবাজারে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে৷

পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের ফলে দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজার আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে ডিএসই মনে করে।

দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের পুঁজিবাজার। তাই ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশের পুঁজিবাজারই সরকারের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করে ডিএসই।

এমআই/এসকেডি