‘১১০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যেই এক কেজি মাছ কিনতে পারছি। আগে তো ১৩০ টাকার নিচে মাছ পাওয়াই যেত না। অন্য বড় মাছের দামও খুব যে আহামরি বেড়েছে তেমনটা নয়। বলতে পারেন মাছের বাজারে বেশ স্বস্তিই রয়েছে।’

কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর উত্তরার ৫নং সেক্টরের বাসিন্দা মো. রহিম মিয়া। জহুরা মার্কেটে আলাপকালে এ ক্রেতা জানান, বাজারের মূল রূপ হলো সব সময় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া। কিন্তু মাছের বাজারে এমনটা দেখা যাচ্ছে না। গত প্রায় দুই মাস ধরে মাছের দামে খুব বেশি পার্থক্য নেই।

সরেজমিনে এ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে বড় কাতল কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাংগাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বোয়াল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শোল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিপ্রতি তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, ছোট রুই ও কাতল মাছ ১১০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরেই কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

এছাড়া কাঁচাবাজারেও তেমন কোনো উত্তাপ দেখা যায়নি। অধিকাংশ সবজিই নাগালের মধ্যেই রয়েছে বলে জানালেন একাধিক ক্রেতা। উত্তরার ৭নং সেক্টরের বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, সবজির দাম খুব বেশি বাড়েনি। গত সপ্তাহে যেমন ছিল তেমনই আছে।

সবজি বিক্রেতা মো. ওবায়দুর বলেন, শুধু লেবুর দাম একটু বেশি। ৫০ থেকে ৬০ টাকা হালি (৪টি) বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিনে সবজির বাজারে খুব বেশি পার্থক্যও নেই। সব পণ্যের দাম প্রায় একই রকম আছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কেজিপ্রতি শসা ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সিম ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, আলু ২৫ থেকে ২৮ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আদা (দেশি) ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। এখনও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মোটা চাল (২৮) ৫০ থেকে ৫২, চিকন (মিনিকেট) ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, মোটা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর তেলের বাজারে গত একমাসে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৫ লিটারের তেলের বোতল ৬২০ থেকে ৬৬০ টাকা ও এক লিটারের বোতল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম এখনও বাজারে কার্যকর হয়নি।

বাজারে মুরগির কিছুটা দাম বেড়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। মো. সাদেক নামের এক বিক্রেতা জানান, দাম বেড়ে সোনালী কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি ৪০০ থেকে ৪৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

একে/এসএসএইচ