মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় ও বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটে কার্যকরী নির্দেশনা নেই যাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।

সোমবার ( ২৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন, সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা কোভিডের প্রভাব ও মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে করমুক্ত ব্যক্তি আয়কর সীমা বাড়ানো এবং সামাজিক সুরক্ষায় দরিদ্র মানুষকে সরাসরি অর্থ সহায়তার দাবি জানান।

মতবিনিময় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সহ-সভাপতি আমানুর রহমান। তিনি বলেন মূল্যস্ফীতি কমানোর কোনো নির্দেশনা নেই প্রস্তাবিত বাজেটে; এছাড়া করোনাকালীন সময়ে কাজ হারানো মানুষের কর্মসংস্থানেরও কোনো দিকনির্দেশনা নেই।

জিটিভির নিউজ এডিটর রাজু আহমেদ বলেন, বাজেট কোনো জটিল বিষয় নয়; জনগণের দেওয়া গাইড লাইনের ওপর ভিত্তি করে কৈফিয়ত দেওয়ার নামই হচ্ছে বাজেট। গণতন্ত্র এবং সুশাসন প্রয়োজন কল্যাণমুখী বাজেটের জন্য দুঃখজনকভাবে কোনোটাই আমাদের নেই।

এসএটিভির বিজনেস এডিটর সালাউদ্দিন বাবলু বলেন, জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক অথচ আমরা জনগণ বাজেটে প্রত্যাশা এমনভাবে করি যেন আমরা ভিখারি; করের বিষয়টিও জুলুমের পর্যায়ে চলে গেছে। বাজেটকে জনকল্যাণমুখী করতে হলে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার এবং নীতি প্রণয়ন পদ্ধতিরও পরিবর্তন প্রয়োজন।

সেইফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী বলেন, শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি রেশনিং, আবাসন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ সামাজিক সুরক্ষার বিষয়সমূহ এখনো বাজেটে উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।

সভায় গণমাধ্যম কর্মী, সাধারণ করদাতা থেকে নারী, দলিত, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী, গবেষক, ট্রেড ইউনিয়নকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে জাতীয় বাজেট বিষয়ে তাদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

আরএম/এসকেডি