প্রায় ৪ কোটি মধ্যবিত্তের বিশাল মার্কেট টার্গেট করে বিদেশি ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।

সোমবার (২৭ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বিপিজিএমইএর পল্টন অফিসে আয়োজিত সেমিনারে সংগঠনটির সভাপতি সামিম আহমেদ এ আহ্বান জানান।

বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদে বাজেট পাস হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক খাতের মতো প্লাস্টিক খাতসহ সব রপ্তানি খাতের প্রতিষ্ঠানের কর হার ১২ শতাংশ এবং সবুজ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ করা, পিপিই ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫% ভ্যাট প্রত্যাহার, প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে রি-সাইক্লিংয়ের মাধ্যমে প্লাস্টিক দানা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভ্যাটমুক্ত রাখা এবং প্লাস্টিকের তৈরি টিফিন বক্স ও পানির বোতল ভ্যাটমুক্ত রাখায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, সামনে এলডিসি গ্রাজুয়েশন। সবকিছু ওপেন হয়ে যাবে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে এসএমইকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। প্রায় ৪ কোটি মধ্যবিত্তের বিশাল মার্কেট টার্গেট করে বিদেশি ব্যবসায়ীদের অগ্রসর হতে হবে।

এফবিসিসিআই উপদেষ্টা (চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ডস) স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, বাজেটের আকার বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সার্বিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়ছে ধীরে ধীরে। এই গ্যাপ কমাতে পারলে আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়বে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বেশ কিছু ভালো ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।  কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর কারণে সকল খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।

এসএমই প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোট ইন্ডাস্ট্রি বা প্রতিষ্ঠানের শুরুতেই বাধাগ্রস্ত করলে তারা আর এগুতে পারবে না। কোভিডের কারণে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে ফেলতে হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন।

আরএম/এসকেডি