পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারকে ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান সরকার। 

মঙ্গলবার (২৮ জুন) ভার্চুয়ালি জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত ইউহো হায়াকাওয়া নিজ নিজ পক্ষে ঋণ চুক্তিতে সই করেন।

মেট্রোরেল লাইন-৫ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটা উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। নতুন এই মেট্রোরেল গাবতলী হয়ে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘের লাইনটির ১৪ কিলোমিটার হবে পাতাল রুট; বাকি ছয় কিলোমিটার এলিভেটেড রুট। ফলে একই রুটে পাতাল ও উড়াল ব্যবস্থার সমন্বয়ে মেট্রোরেল হবে। প্রস্তাবিত এমআরটি রুট-৫ (নর্দান রুট) এ ১৪টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে নয়টি স্টেশন হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে অর্থাৎ মাটির নিচে। আর বাকি পাঁচটি স্টেশন থাকবে মাটির ওপরে।

প্রস্তাবিত পাতাল স্টেশনগুলো হচ্ছে- হেমায়েতপুর, বালিয়াপুর, মধুমতি, আমিনবাজার, গাবতলী, দারুসসালাম, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪। অন্যদিকে কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান-২, নতুনবাজার, ভাটারা স্টেশনগুলো হবে উড়াল।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দার্ন রুট প্রকল্পের পরিচালক আফতাব হোসেন খান বলেন, প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ও জাপানর সরকারের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে, এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হবে পাতাল।

এসআর/এসএম