ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) ব্যবহারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মাধ্যমে বিডায় জমাকৃত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করার জন্য আইসিএবির ডিভিএস ব্যবহার করার সুযোগ পাবে বিডা।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিডা কনফারেন্স হলে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বিডার নির্বাহী সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন ও আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাৎ হোসেন নিজ নিজ পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগ প্রকল্প অনুমোদনের সময় বিডা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিবেদন দেখে থাকে। তখন নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সঠিকতা যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়। বিডার  সঙ্গে আইসিএবির ডিভিএস ব্যবহার সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ফলে বিনিয়োগ প্রকল্প অনুমোদনসহ বিদেশে বাণিজ্যিক কার্যালয় স্থাপন, রেমিটেন্স ও বিদেশি ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আরও সহজ হবে। যথাযথ যাচাইয়ের সুযোগ থাকবে বলে ভুল বা অসত্য নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে না। ফলে জাল অডিট রিপোর্ট, ভুল নিরীক্ষিত আর্থিক বিবৃতি, একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির একাধিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবৃতি, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবৃতিতে টেম্পারিংয়ের সুযোগ থাকবে না।

আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ডিভিএস একাধিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির প্রবণতা দূর করবে। ডিভিএস চালুর এক বছরের মধ্যে নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার হয়েছে অর্থাৎ এ পর্যন্ত এ সংখ্যক ডিভিসি কোড দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিভিএসের সফলতা নির্ভর করে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, নিরীক্ষক ও অংশীজনের ওপর। তাদের ডিভিএসের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। ডিভিএস ব্যবহার সংক্রান্ত যেকোনো সহযোগিতা প্রদান করবে আইসিএবি।

বিডার পরিচালক মো. আরিফুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্ত্যব দেন বিডা মহাপরিচালক শাহ মোহাম্মদ মাহবুব। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিএবির সহ-সভাপতি ফৌজিয়া হক এফসিএ। এ সময়ে বিডা ও আইসিএবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসআর/আরএইচ