প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ বাজেটে অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই বিধান অটুট রেখে অর্থবিল-২০২২ পাস হয়েছে।

সেই সঙ্গে বাড়তি সুবিধা পেলে কোম্পানিগুলো। পাসকৃত অর্থবিল অনুযায়ী, বার্ষিক সর্বোচ্চ ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ খরচ ও বিনিয়োগ করলেও হ্রাসকৃত করপোরেট কর সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে যার সীমা ছিল ১২ লাখ টাকা।

জাতীয় সংসদে পাসকৃত অর্থবিলে এমন বিধান যোগ করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংশোধনী আনেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

অর্থবিল অনুসারে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব ছিল। সেখানে শর্ত দেওয়া হয়, সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা নগদে খরচ করা যাবে। এর বেশি অর্থ নগদে খরচ করলে কর হ্রাসের সুবিধা পাওয়া যাবে না। ব্যবসায়ী মহল থেকে তীব্র আপত্তি ওঠায় অর্থবিলে সেটি বাড়িয়ে ৩৬ লাখ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ জুন প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের লক্ষ্যে গতবছর অর্থ আইনে করপোরেট কর হার ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে কমানো হয়েছিল। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে করপোরেট কর হার আরও কমানোর প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, কর কমানোর ক্ষেত্রে সব প্রাপ্তি ও আয় অবশ্যই ব্যাংকে স্থানান্তরের মাধ্যমে গৃহীত হতে হবে এবং ১২ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয় ও বিনিয়োগ অবশ্যই ব্যাংকে স্থানান্তরের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে- এ শর্তে আমি নন-লিস্টেড কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ থেকে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশে কমানোর প্রস্তাব করছি। অর্থনীতির অধিকতর আনুষ্ঠানিকীকরণ এবং এক ব্যক্তি কোম্পানির প্রতিষ্ঠা উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

মন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। তবে এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বা তার কম শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তরকারী লিস্টেড কোম্পানির করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া, পূর্বোক্ত শর্ত পরিপালনে ব্যর্থতায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

এছাড়াও ব্যক্তি-সংঘের করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। আর কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা ও অন্যান্য করযোগ্য সত্তার করহার ৩০ শতাংশ থেকে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

আরএম/ওএফ