২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্য স্থাপনাকে গ্রেডিং দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেল ৩টায় খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ রুমে এ গ্রেডিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠা‌নিকভা‌বে এ গ্রেডিং প্রদান ক‌রেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।

এসময় তিনি বলেন, পর্যটন বিকাশে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাদ্যের মান। কোনো পর্যটক যখন কোথাও যান, তখন তিনি যেন এসব গ্রেডিং স্টিকার দেখে একটা সমর্থন পান।

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খান। তিনি ব‌লেন, যারা কম গ্রেড পেয়েছেন, তাদের ৪৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হলো। এ সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেড উন্নীত করার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বিপু নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বিভিন্ন সরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠা‌নে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্য স্থাপনাকে নতুন করে গ্রেডিং এবং ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে রিগ্রেডিং(পুনরায় গ্রেডিং) স্টিকার দেওয়া হয়।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫০টি খাদ্য স্থাপনাকে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়া এবং ৭১টি খাদ্য স্থাপনাকে রিগ্রেডিং করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৮টি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩০টি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩০টি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্য স্থাপনাকে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে হোটেল রেস্তোরাঁকে বিশেষ মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়া শুরু করে। এ+, এ, বি এবং সি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এ গ্রেডিং স্টিকার বিতরণ করা হয়। ৯০ বা তার বেশি নম্বর পেলে এ+, ৮০-৮৯ নম্বর পেলে এ, ৭০-৭৯ পেলে বি এবং ৭০ এর নিচে পেলে সি গ্রেড দেওয়া হয়।

খাদ্য স্থাপনার পরিবেশ, প্রশাসনিক বিষয়াদি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, খাবার সংরক্ষণ ও মজুদ এবং ভোক্তার সঙ্গে আচরণ এসব বিষয় বিবেচনা করে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়া হয়।

এসময় মনিটরিং ও খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পোশাক চালু করা হয়। জলপাই রং এর এ পোশাক পরিধান করে এখন থেকে খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন করা হবে।

এসআই/এমএইচএস