বিসিপি বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে দ্রুত উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে। এতে বিনিয়োগ উৎস বাড়ানো সম্ভব হবে। 
 
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) এ লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মধ্যে বিজনেস কনটিউনিটি প্ল্যান (বিসিপি) বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বেজা’র আওতাধীন দুটো অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিসিপি পাইলটিং করার জন্য এ সমঝোত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ কার্যক্রমের আওতায় বিসিপি’র কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য গাইডলাইন তৈরি এবং বিসিপি অনুশীলনে বেজা ও বিনিয়োগকারীদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।

রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেন ও বেজার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ ইরফান শরীফ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বেজা’র জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান আরিফ উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনডিপি’র কারিগরি সহায়তায় কার্যক্রম বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম থেকে বিসিপি’র গাইডলাইন তৈরি ও পাইলটিং কাজে কারিগরি সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ সমঝোতা চুক্তির আওতায় বিসিপি সংক্রান্ত একটি ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে বেজা ও কার্যক্রম বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে। 

চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগর ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওতে মেঘনা ইকোনমিক জোনে বিসিপি পাইলটিং করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগসহ সরকারের চারটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে।

বেজার নির্বাহী সদস্য বলেন, বাংলাদেশে বিজনেস সেক্টরে ও ইন্ডাস্ট্রিতে রিক্স আনসার্টিন বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না। ফলে এতদিন কোনো পরিকল্পনা ও আনুষ্ঠিক কার্যক্রম ছিল না। সেটা আজকে বেজার মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে। এজন্য আমরা নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরকে একটা আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের শিল্পাঞ্চলে রূপান্তর করব। 

ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম এনালিস্ট আরিফ উদ দৌলা খান বলেন, বিজনেস কন্টিউনিটি প্ল্যান, ধারণাটি কিন্তু বাংলাদেশের জন্য নতুন। কোভিডে আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। জাতীয় পর্যায়ে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর একটি বড় চ্যালেঞ্জ আমরা সবসময় মোকাবিলা করি প্রাইভেট সেক্টর নিয়ে। প্রাইভেট সেক্টরের একটা মাইন্ডসেট তৈরি হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মাইন্ডসেট হয়েছে যে কোনো দুর্যোগ তেমন ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু এরকম মাইন্ডসেট ঠিক নয়। প্রাইভেট সেক্টরের সবাইকে বিজনেস কন্টিউনিটি প্ল্যানের আওতায় আনতে হবে। 

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, এটা আমাদের নতুন ধরনের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা। বিজনেস কন্টিউনিটি প্ল্যানের মাধ্যমে আমরা কিভাবে ভবিষ্যতে কাজ করব তার লার্নিং শুরু হচ্ছে। আমরা শিখব, দেখব এবং আস্তে আস্তে এগিয়ে যাব। আশা করছি বেজার মাধ্যমে কাজটি সফলভাবে করতে পারবো। 

এসআর/এইচকে