গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ই-পাইকার এক্সটেন্সিভ লিমিটেড। 

উদ্ভাবনী সেবা প্রদানের স্বীকৃতি স্বরূপ স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণে উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এই অনুদান দিচ্ছে আইডিয়া প্রকল্প। সম্প্রতি অনুদানের প্রথম কিস্তির ৩ লাখ টাকার চেক হাতে পেয়েছে ই-পাইকার। এই অর্থ প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে পাইকারি ক্রেতা-ভোক্তার চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটি।

অনুদান প্রাপ্তির বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ই-পাইকার এক্সটেন্সিভ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শেখ শাফায়াত হোসেন বলেন, দেশের প্রচলিত পাইকারি বাজারকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে রূপান্তরের মাধ্যমে এ ধরনের কেনাবেচার প্রক্রিয়াকে সহজ ও ব্যয় সাশ্রয়ী করার কাজ করছে ই-পাইকার এক্সটেন্সিভ লিমিটেড। স্টার্টআপ এই প্রতিষ্ঠানটির বেড়ে ওঠায় আইডিয়া প্রকল্পের এই অনুদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।

ই-পাইকার এক্সটেন্সিভ লিমিটেডকে ২০২২ সালের প্রি-সিড গ্র্যান্টপ্রাপ্ত স্টার্টআপ হিসেবে বাছাই করায় আইডিয়া প্রকল্পের সিলেকশন কমিটি ও আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে ই-পাইকার কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠান পরিচিতি : ই-পাইকার এক্সটেন্সিভ লিমিটেড

২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর রেজিস্টার্ড অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) থেকে নিবন্ধন প্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা এই প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্থে দেশে প্রথম বাংলা ভাষায় অনলাইন মার্কেটপ্লেস চালু করে। এই প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্মটি পাইকারি বা বিটুবি ই-কমার্স সেবা প্রদানের মাধ্যমে সব অঞ্চলে গুণগত মানের পণ্য উৎপাদক ও পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে ন্যায্য দামে খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে।

আইডিয়া প্রকল্প

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনী স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা করে প্রি-সিড পর্যায়ে অনুদান দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত এই প্রকল্প থেকে ৩০০ মতো স্টার্টআপকে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে। অনুদান প্রদানের পাশাপাশি বিনামূল্যে স্টার্টআপদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে কো-ওয়ার্কিং স্পেস। এ ছাড়া স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে পরামর্শমূলক সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে এ প্রকল্প থেকে। 

এসআই